কালোজিরার তেল বানানোর ৩টি সহজ পদ্ধতি-বিস্তারিত জানুন
কালোজিরার তেল বানানোর পদ্ধতি এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। চলুন তাহলে আজকে জেনে নেওয়া যাক কালোজিরার তেল কিভাবে বানাতে হয়,কালোজিরা তেলের উপকারিতা,কালোজিরার পুষ্টি উপাদান,কালোজিরার তেল ও মধু খাওয়ার উপকারিতা ও আরো বিস্তারিত তথ্য।
কালোজিরা তেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে যেসব পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন সেগুলো কালোজিরাতে রয়েছে। তাহলে
দেরি কেন? চলুন বিস্তারিত জানি।
পেজ সূচিপত্রঃকালোজিরার তেল বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কিত
- কালোজিরার তেল বানানোর পদ্ধতি
- কালোজিরা তেলের উপকারিতা
- কালোজিরার পুষ্টি উপাদান
- কালোজিরার তেল ও মধু খাওয়ার উপকারিতা
- মধু ও কালোজিরার তেল খাওয়ার নিয়ম
- কালোজিরার তেল চুলের জন্য
- কালোজিরার তেল মাথায় ব্যবহারের নিয়ম
- কালোজিরার তেল দাম
- সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়
- রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়
- কালোজিরার তেল বানানোর পদ্ধতি-লেখক এর শেষ কথা
কালোজিরার তেল বানানোর পদ্ধতি
কালোজিরার তেল বানানোর পদ্ধতি, আমরা সকলে জানি কালোজিরাকে বলা হয় মৃত্যু ব্যতীত
সকল রোগের ওষুধ। তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন কালোজিরার তেল ব্যবহার
করলে আপনার কি কি উপকার হতে পারে? আজকে আমরা জানবো কালোজিরার তেল বানানোর ৩টি সহজ পদ্ধতি। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।
কালো জিরার তেল বানানোর পদ্ধতি -১ঃ কালোজিরার তেল বানানোর এমন একটি
পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি যা আপনি ঘরে বসে খুব সহজে তৈরি করতে
পারবেন। তাহলে চলুন নিয়মটা জেনে নেই।
-
এক কাপ পরিমাণ কালোজিরা নিন এবং সাথে সমপরিমাণ সরিষার তেল/নারিকেল তেল/
অ্যালোভেরা জেল নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
-
এবার সেগুলোকে ভালোভাবে ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। মনে রাখবেন যতক্ষণ
না ভালোভাবে ব্লেন্ড হচ্ছে ততক্ষণ ব্লেন্ড করতে থাকুন।
-
ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে সেগুলোকে একটি কাচের বোতলে রেখে দিন(কমপক্ষে ৬-৭
দিন রাখতে হবে)
-
৬-৭ দিন পর কাঁচের বোতলে রাখা সে তেল গুলোকে ভালোভাবে ছেঁকে আপনি সংরক্ষণ
করতে পারেন। এখন আপনার তৈরিকৃত তেল ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।
কালো জিরার তেল বানানোর পদ্ধতি -২ঃ চুল ভালো রাখতে কালোজিরা
কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এখন আমরা জানবো তেল বানানোর আরেকটি ঘরোয়া পদ্ধতি যা
আপনি খুব সহজে তৈরি করতে পারবেন। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেই।
- ১০০ গ্রাম পুষ্ট ও পরিষ্কার কালোজিরা নিন।
- পাত্রে না সে কালোজিরা গুলোকে অল্পতাপে পাঁচ মিনিট ভেজে নিন।
-
এবার সে কালোজিরা গুলোকে ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
-
ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে সে ব্লেন্ড করা কালোজিরার মিশ্রণের সাথে দুই
টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে নিন।
-
মেশানো হয়ে গেলে সেগুলোকে চুলাই দিন। অল্পতাপে নাড়তে থাকুন। যতক্ষণ
পর্যন্ত তেল বের না হবে ও ফুটা শুরু না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাপ দিতে
থাকুন।
-
সে তেল গুলোকে চুলা থেকে নামিয়ে নিন
-
এবার কোন একটি কাঁচের পাত্রে তেল গুলোকে ছেঁকে সংরক্ষণ করুন।
এভাবে আপনি খুব সহজে ঘরে বসে কালোজিরা তেল তৈরি করতে পারেন। এই তৈরিকৃত তেল
আপনি আপনার মাথায় ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার চুল পড়া বন্ধ থেকে সহায়তা
করবে। চুল পড়া বন্ধের জন্য নিচে আরেকটি কালোজিরার তেল বানানোর নিয়ম
দেওয়া হল পড়তে থাকুন।
কালো জিরার তেল বানানোর পদ্ধতি -৩ঃ আমরা প্রতিনিয়ত বর্তমানে একটা
সমস্যায় ভুগি সেটি হলো চুল পড়া। চুল পড়া সমস্যার সমাধানের জন্য সহজ পদ্ধতিতে
কালোজিরা তেল বানানো শিখুন।
-
১০০ গ্রাম কালোজিরার সাথে ১০০ গ্রাম মেথি নিন।
- সেগুলোকে চুলায় অল্পতাপে ভেঙ্গে নিন/রোদে শুকিয়ে নিন।
- শুকানো হয়ে গেলে ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
-
ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে সে ব্লেন্ডকৃত মিশ্রণের সাথে অল্প পরিমাণে পানি
দিয়ে ২ দুই মিনিট নেরে নিন।
-
এবার সেগুলোকে চুলায় দিয়ে অল্প তাপে জাল দিতে থাকুন।
-
তেলের পর্যায় চলে আসলে সেগুলোকে চুলো থেকে নামিয়ে নিন।
-
এবার তেল গুলোকে ছেঁকে অন্য একটি পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
আমরা এতক্ষন আলোচনা করলাম কিভাবে ঘরে বসে খুব সহজে কালোজিরা তেল তৈরি
করা যায়। এখন আমরা জানবো কালোজিরা তেল আমাদের শরীরে কি কি উপকার করে ও
এর ব্যবহারের নিয়ম। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।
কালোজিরা তেলের উপকারিতা
কালোজিরা তেলের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকের অজানা। আজকে আমরা জানবো
কালোজিরা তেল আমাদের শরীরে কি কি উপকার করে। আমরা সকলে জানি কালোজিরা কে মৃত্যু
ব্যতীত সকল রোগের ওষুধ বলা হয়। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক
কালোজিরার তেলের উপকারিতা গুলো কি কি?
আমরা উপরে জেনেছি কালো জিরার তেল বানানোর পদ্ধতি গুলো কি কি, এখন আমরা
জানবো কালোজিরা তেলের উপকারিতা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ কালোজিরার তেলে রয়েছে
প্রচুর পরিমানে পুষ্টি উপাদান। কালোজিরা তেল চায়ের সাথে অথবা এমনি নিয়মিত
খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ব্যথা নিরাময় সহায়তা করেঃ কালোজিরার তেল চায়ের সাথে মিশিয়ে
খেলে শরীরের ব্যথা দূর হয়। দিনে দুই থেকে তিনবার খেতে হবে।
জ্বর সর্দি কাশি দূর করেঃ জ্বর সর্দি কাশি হলে আপনি কালোজিরার
তেল খেতে পারেন। দিনে দুই থেকে তিনবার খেলে জ্বর সর্দি কাশি দূর হবে।
পুরুষ ও মহিলা যৌন শক্তি বৃদ্ধি করেঃ কালোজিরা তেলে
রয়েছে আশ্চর্যকর পুষ্টি উপাদান। কালোজিরার তেল খেলে পুরুষ ও মহিলার যৌন
শক্তি বৃদ্ধি হয়।
মেদ কমাতে সহায় হতে পারেঃ কালোজিরার তেল নিয়মিত খেলে অতিরিক্ত
চর্বি বা মেদ কমে।
কিডনির পাথর সমস্যা সমাধান করেঃ আমরা যে খাবার খাই আমাদের শরীর তার
সম্পূর্ণ হজম করতে পারে না। কিছু অংশ পেটের ভেতরে জমা থেকে যায়। এই জমে থাকা
খাদ্য এক পর্যায়ে পাথরের আকার ধারণ করে। আর এই পাথর কিডনিকে বিকল করে বা নষ্ট
করে দেয়। কালোজিরার তেল নিয়মিত খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি
পাওয়া যায়।
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেঃ কালোজিরার তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে সৌন্দর্য ঠিক
থাকে বয়সের ছাপ দূর হয়।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ কালোজিরার তেল হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
আমরা খাবার খাওয়ার সময় পেটে অনেক সমস্যা হয় আবার অনেক সময় হজম হয় না।
কালোজিরা তেল নিয়মিত খেলে এ সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।
দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করেঃ আমরা অনেকেই আছি যারা চোখে ঝাপসা দেখি,
চোখ লাল হয়ে যায় ও বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখে কম দেখে। কালোজিরা তেল নিয়মিত
খেলে এ সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।
হৃদরোগ সমস্যার সমাধান করেঃ কালোজিরার তেল নিয়মিত খেলে হার্ট ভালো
থাকে।
কালোজিরার পুষ্টি উপাদান
কালোজিরার পুষ্টি উপাদান, কালোজিরাতে রয়েছে ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ
শর্করা ও ৩৫ শতাংশ তেল বা চর্বি। কালোজিরা হল পুষ্টি উপাদানের ভান্ডার। কেন?
কিভাবে? নিশ্চয় আপনার মনে আসছে? চলুন তাহলে উত্তরটা জেনে নিন।
কালোজিরাতে রয়েছে লিনোলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম , পটাশিয়াম,
জিংক, ফসফরাস, আয়রন,কপার, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি১২,
ভিটামিন বি৬, নিয়াসিন, অলিক স্টিয়ারিক, প্রোটিন নিজেলোন,
ম্যাঙ্গানিজ, ও সোডিয়াম।
কালোজিরার তেল ও মধু খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরার তেল ও মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা।
আজকে আমরা জানবো কালোজিরার তেল এর সাথে মধু মিশিয়ে খেলে কি কি উপকার
হয়। কালোজিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। তাই কালোজিরা খেয়ে মৃত্যু
ব্যতীত সকল রোগের ওষুধ হিসেবে ধরা হয়।
কালোজিরাতে রয়েছে আয়রন,কপার, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি,লিনোলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম , পটাশিয়াম, জিংক, ফসফরাস, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৬, নিয়াসিন,
অলিক স্টিয়ারিক, প্রোটিন নিজেলোন, ম্যাঙ্গানিজ, ও সোডিয়াম ও মধুতে রয়েছে
জিংক, কপার, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি ৬ ও আয়োডিন
সহ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল। তাই কালোজিরার তেল ও মধু একসাথে খেলে কি হয়
ও এর উপকারিতা গুলো নিচে দেওয়া হল।
পুরুষ ও মহিলা যৌন শক্তি বৃদ্ধি করেঃ কালোজিরা তেল রয়েছে আশ্চর্যকর পুষ্টি
উপাদান। কালোজিরার তেল খেলে পুরুষ ও মহিলার যৌন শক্তি বৃদ্ধি হয়।
মেদ কমাতে সহায় হতে পারেঃ কালোজিরার তেল নিয়মিত খেলে অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ
কমে।
কিডনির পাথর সমস্যা সমাধান করেঃ আমরা যে খাবার খাই আমাদের শরীর তার সম্পূর্ণ
হজম করতে পারে না। কিছু অংশ পেটের ভেতরে জমা থেকে যায়। এই জমে থাকা খাদ্য এক
পর্যায়ে পাথরের আকার ধারণ করে। আর এই পাথর কিডনিকে বিকল করে বা নষ্ট করে
দেয়। কালোজিরার তেল নিয়মিত খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেঃ কালোজিরার তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে সৌন্দর্য ঠিক থাকে
বয়সের ছাপ দূর হয়।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ কালোজিরার তেল হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আমরা
খাবার খাওয়ার সময় পেটে অনেক সমস্যা হয় আবার অনেক সময় হজম হয় না।
কালোজিরা তেল নিয়মিত খেলে এ সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।
দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করেঃ আমরা অনেকেই আছি যারা চোখে ঝাপসা দেখি, চোখ লাল
হয়ে যায় ও বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখে কম দেখে। কালোজিরা তেল নিয়মিত খেলে
এ সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।
হৃদরোগ সমস্যার সমাধান করেঃ কালোজিরার তেল নিয়মিত খেলে হার্ট ভালো থাকে।
মস্তিষ্ক সতেজ রাখেঃ মস্তিষ্ক সতেজ রাখতে কালোজিরার তেল ও
মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করেঃ কালোজিরা তেল ও মধু খেলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ কালোজিরার তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি উপাদান। কালোজিরা তেলর সাথে মধু নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ব্যথা নিরাময় সহায়তা করেঃ কালোজিরার তেলর সাথে মধু মিশিয়ে খেলে শরীরের ব্যথা দূর হয়। দিনে দুই থেকে তিনবার খেতে হবে।
জ্বর সর্দি কাশি দূর করেঃ জ্বর সর্দি কাশি হলে আপনি কালোজিরার তেলর সাথে মধু খেতে পারেন। দিনে দুই থেকে তিনবার খেলে জ্বর সর্দি কাশি দূর হবে।
মধু ও কালোজিরার তেল খাওয়ার নিয়ম
মধু ও কালোজিরার তেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আজকে আমরা
জানবো মধুর সাথে কালোজিরার তেল কিভাবে খেতে হয় এবং এর উপকারিতা গুলো কি কি।
মধুতে রয়েছে জিংক, কপার, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি
৬ ও আয়োডিন সহ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও কালোজিরার তেলে রয়েছে , ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৬, নিয়াসিন, অলিক স্টিয়ারিক, প্রোটিন নিজেলোন, ম্যাঙ্গানিজ, ও সোডিয়াম, লিনোলিক
অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম , পটাশিয়াম, জিংক, ফসফরাস, আয়রন,কপার, ভিটামিন এ,
ভিটামিন বি।
চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক মধু ও কালোজিরার তেল খাওয়ার নিয়ম
গুলো কি কি।
-
এক চামচ কালোজিরার তেল ও সমপরিমাণ কত নিয়ে চায়ের সাথে খেতে পারে।
প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার খেতে হবে।
-
শরীরে বাকা ঘাড়ে ব্যথা রোদের জন্য এক চামচ কালোজিরার তেল
সাথে সমপরিমাণে মধু মিশিয়ে লাল চায় সাথে খেতে পারেন। দিনে দুই থেকে
তিনবার খেতে হবে। যতদিন না ভালো হয় এভাবে খেতে থাকেন উপকার হবে।
-
এক চামচ কালোজিরা সাথে সমপরিমাণ মধু ও এক চামচ তুলসী পাতার রস খেলে জ্বর,
সর্দি ও কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কালোজিরার তেল চুলের জন্য
কালোজিরার তেল চুলের জন্য অনেক উপকারী। আপনি জানেন কি? যদি না জেনে থাকেন আজকের
কন্টেনটি তাহলে আপনার জন্যই। কালোজিরার তেল চলে যেভাবে ব্যবহার করবেন চলুন জেনে
নেই।
কালোজিরা তেলে রয়েছেভিটামিন বি৬, নিয়াসিন, অলিক স্টিয়ারিক, প্রোটিন নিজেলোন, ম্যাঙ্গানিজ, ও সোডিয়াম, লিনোলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম , পটাশিয়াম, জিংক,
ফসফরাস, আয়রন,কপার, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি১২। আমরা
জানি ভিটামিন এ ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- ২টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এর সাথে ১টেবিল চামচ কালোজিরার তেল নিন।
-
তেল গুলোকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
-
মেশানো হয়ে গেলে চুলাতে দিয়ে হালকা তাপ দেন।
-
চুলা থেকে নামিয়ে মাথায় লাগান এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন
এভাবে আপনি কালোজিরা তেল ব্যবহার করলে আপনার চুলের গোড়া শক্ত হবে ও চুল পড়া
সমস্যা থাকলে তার সমাধান হবে।
কালোজিরার তেল মাথায় ব্যবহারের নিয়ম
কালোজিরার তেল মাথায় ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা এবং
কালোজিরার তেল মাথায় দিলে কি কি উপকার হয় সে সম্পর্কে আমাদের অনেকের অজানা।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কালোজিরার তেল মাথায় দিলে কি কি উপকার হয় ও
কালোজিরা তেল মাথায় ব্যবহারের নিয়ম।
কালোজিরার তেল মাথায় ব্যবহারের নিয়মঃ ২টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এর
সাথে ১টেবিল চামচ কালোজিরার তেল নিন।তেল গুলোকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।মেশানো
হয়ে গেলে চুলাতে দিয়ে হালকা তাপ দেন।চুলা থেকে নামিয়ে মাথায় লাগান এবং ১০
থেকে ১৫ মিনিট রাখুন।
এই নিয়মে কালোজিরার তেল মাথায় ব্যবহার করলে আপনার মাথার চুল পড়া বন্ধ হবে,
মাথা সুস্থ থাকবে ও চুলের গোড়া শক্ত হবে। আপনি এটা নিয়মিত ব্যবহার করে দেখতে
পারেন অনেক উপকার হবে এবং আপনি এর ফল বুঝতে পারবেন।
কালোজিরার তেল দাম
কালোজিরার তেল দাম সম্পর্কে আমরা জানিনা। আজকে আমরা জানবো কালোজিরার তেলের
দাম কত ও কোথায় পাওয়া যায়। কালোজিরা কে মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ওষুধ হিসাবে
ধরা হয়।
কালোজিরা তেলের দাম একটু বেশি হওয়ার কথা। কারণ কালোজিরার দাম অনেক
ও কালোজিরা থেকে তেল পরিমাণে অনেক কম হয় তাই এর বাজার মূল্য বেশি।
২০০ গ্রাম কালোজিরা তেলের দামঃ প্রায় ৩৮০ টাকা
১ কেজি কালোজিরা তেলের দাম ঃ প্রায় ২০০০ হাজার টাকা
সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়
সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয় এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। কি তাই
না? উত্তরটি অবশ্যই হ্যাঁ হবে। চলুন তাহলে আজকে জেনে নেই সকালে খালি পেটে
কালোজিরা খেলে কি হয়। আপনি যদি কালোজিরার তেল বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে না
জানেন তাহলে উপরে গিয়ে জেনে আসুন।
কালোজিরাতে রয়েছে নিয়াসিন, অলিক স্টিয়ারিক, প্রোটিন নিজেলোন, ম্যাঙ্গানিজ, ও সোডিয়াম, লিনোলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম , পটাশিয়াম, জিংক, ফসফরাস,
আয়রন,কপার, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৬। যেগুলো আমাদের
শরীরের জন্য খুবই উপকারী উপাদান।
সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কালোজিরা সাথে
তুলসী পাতার রস অথবা কালোজিরার তেলের সাথে তুলসী পাতার রস খেলে জ্বর সর্দি কাশি
ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হয়। কালোজিরাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে
থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।
রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়
রাতে কালোজিরা খেলে কি হয় এ বিষয়ে আমরা অনেকেই জানিনা। আজকে আমরা জানবো রাতে
কালোজিরা খেলে কি হয় ও পূর্বে আমরা জেনেছি কালোজিরার তেল বানানোর পদ্ধতি। চলুন
তাহলে জেনে নেওয়া যাক রাতে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি।
রাতে কালো জিরা খেলে আমাদের শরীরে যেসব উপকার হয়ঃ
- পেট ফাঁপা দূর হয়
- হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়
-
শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে
- গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান হয়
- আমাশয় দূর হয়
- এলার্জির সমস্যার সমাধান হয়
- শরীর সুস্থ থাকে
লেখক এর শেষ কথাঃ কালোজিরার তেল বানানোর পদ্ধতি
কালোজিরার তেল বানানোর পদ্ধতি ,উপকারিতা ও
অপকারিতা, কালোজিরার সাথে মধু খাওয়ার নিয়ম ও আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে আমরা উপরে জেনেছি। আমরা যদি
নিয়মিত কালোজিরার তেল খেতে পারি তাহলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে। কেননা
কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে যে কালোজিরা হলো মৃত্যু
ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ। তাই আমরা নিয়ম মেনে কালোজিরা খাওয়ার চেষ্টা করব
তাহলে এর উপকারিতা বুঝতে পারব।
মানুষ মাত্রই ভুল হয়। লেখার মধ্যে কোথাও কোনো ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা
দৃষ্টিতে দেখবেন। কোথাও যদি কোন সমস্যা মনে হয় এবং তার সংশোধনের প্রয়োজন বলে
মনে হয় তাহলে ফ্রিলার্নিং আইটির যোগাযোগ পেজে গিয়ে যোগাযোগ করুন।
এতক্ষণ ফ্রিলার্নিং আইটির সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। নতুন নতুন তথ্য পেতে
ফ্রিলার্নিং আইটির সাথেই থাকুন।
ফ্রিলার্নিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url